প্রচ্ছদ খেলা জাতীয় স্টেডিয়ামে কেউ ব্যস্ত ছবি তুলতে, কেউ করছেন টিকটক

জাতীয় স্টেডিয়ামে কেউ ব্যস্ত ছবি তুলতে, কেউ করছেন টিকটক

দ্বারা নিজস্ব প্রতিনিধি
০ কমেন্ট 2 মিনিট পড়ুন
জাতীয় স্টেডিয়ামে কেউ ব্যস্ত ছবি তুলতে, কেউ করছেন টিকটক

জাতীয় স্টেডিয়ামে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জাতীয় গোল্ডকাপ অনূর্ধ্ব-১৭ টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচে দর্শকদের অবাধ প্রবেশের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় স্টেডিয়ামের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ম্যাচের সময়, বিশেষ করে ময়মনসিংহ বনাম রাজশাহী নারী দলের খেলার সময় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল। গণমাধ্যমকর্মীদের মাঠে প্রবেশের জন্য পরিচয়পত্র দেখাতে হয়েছে।

তবে খেলার প্রথমার্ধ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথির চলে যাওয়ার পর মাঠের চিত্র সম্পূর্ণ বদলে যায়। খেলোয়াড়দের ডাগআউট থেকে শুরু করে অ্যাথলেটিক ট্র্যাক—সব জায়গায় সাধারণ দর্শকদের অবাধ প্রবেশ দেখা যায়। অনেক দর্শক মাঠে দাঁড়িয়ে খেলা দেখছিলেন এবং কিছু দর্শক সেখানে ছবি তুলছিলেন বা টিকটক ভিডিও বানাচ্ছিলেন। এই দৃশ্য প্রায় ঘণ্টা খানেক ধরে চলতে থাকে, যা সময় সংবাদ ক্যামেরায় ধরা পড়ে।

ম্যাচটি উত্তেজনাপূর্ণ ছিল এবং ট্রাইব্রেকারে গিয়ে রংপুর চ্যাম্পিয়ন হয়। খেলোয়াড়দের উদযাপনের সময় অনেক দর্শক মাঠে প্রবেশ করে। পুরস্কার বিতরণী পর্ব শুরু হলে দর্শকরা দলে দলে মাঠের ঘাসে প্রবেশ করেন। কিছু দর্শক মাঠের মধ্যমাঠে বসে আড্ডা দিতে দেখা যায়, আবার কেউ গোলবারে গিয়ে খেলায় মেতে ওঠেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী পুলিশ সদস্যরা তখন ফোনে ব্যস্ত ছিলেন বা গল্পে মগ্ন ছিলেন, যা নিরাপত্তা ব্যবস্থার উদাসীনতা নির্দেশ করে।

জাতীয় স্টেডিয়ামের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে জানতে চাইলে নিরাপত্তা-সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম কিরণ বলেন, ‘এমন খেলায় বারবার ডেকে লোকজন সরানো যায় না, এটাও বুঝি। এ ব্যাপারে সবার কাছে নির্দিষ্ট কোনো নির্দেশনা থাকা উচিত। কারণ, যেসব লোক মাঠের ভেতর ছিল, সবাই খেলা-সংশ্লিষ্ট।’ তিনি আরও বলেন, ‘ম্যাচ আয়োজনের আগে মিটিংয়ে আমি স্পষ্টভাবে জানিয়েছিলাম—পর্যাপ্ত নিরাপত্তাকর্মী দরকার। হয়তো তারা (ক্রীড়া পরিদপ্তর) নিরাপত্তা দিয়েছিলেন, তবে তাদের মনোযোগ ছিল না। যারা মাঠের ভেতরে প্রবেশ করেছে, তাদের নির্দিষ্ট কোনো পাস ছিল না। খেলা-সংশ্লিষ্ট পরিচয় দেখিয়ে তারা প্রবেশ করেছে। ১ নম্বর গেটে দায়িত্বে থাকা পুলিশও আমাকে বলেছে, ‘স্যার, আমরা তো কাউকে চিনি না। আমি বলেছি, ক্রীড়া পরিদপ্তরের নিজস্ব লোক প্রয়োজন এখানে।

জাতীয় স্টেডিয়ামে চুরির ঘটনা ঘটেছে কি না জানতে চাইলে কামরুল ইসলাম কিরণ জানান, ‘৪ জুন ভুটান ম্যাচ এবং ১০ জুন সিঙ্গাপুর ম্যাচের দিন অনেক শৌচাগার থেকে কল চুরি হয়েছে। কে বা কারা এসব করেছে, সেটা আমার জানা নেই।

You may also like

মতামত দিন

ঠিকানা

marbanglasongbad logo

আমার বাংলা সংবাদ মিডিয়া এন্ড কমিউনিকেশন পক্ষে প্রকাশক কর্তৃক প্রকাশিত।

প্রকাশক ও সম্পাদক : হাসান মাহমুদ,
বিভাগীয় প্রধান ( অনলাইন): সাইফ উদ্দিন

জনপ্রিয় সংবাদ

নিউজলেটার

সর্বশেষ সংবাদ সবার আগে পেতে নিউজলেটার সাবস্ক্রাইব করুন।

Are you sure want to unlock this post?
Unlock left : 0
Are you sure want to cancel subscription?
-
00:00
00:00
Update Required Flash plugin
-
00:00
00:00