জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সম্পর্কিত একাধিক উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম ও নিম্নমানের কাজের ব্যাপারে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় জনগণের অভিযোগ, তদারকির অভাবের কারণে ঠিকাদাররা স্বাধীনভাবে কাজ করে চলেছেন।
বকশীগঞ্জ শহরের বাসস্ট্যান্ড থেকে মধ্যবাজার পর্যন্ত এবং জব্বারগঞ্জ পর্যন্ত রাস্তা উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স সৈকত এন্টারপ্রাইজ। অভিযোগ পাওয়া গেছে যে, এখানে ব্যবহৃত কাঁচামাল যেমন ইট ও খোয়া অত্যন্ত নিম্নমানের এবং কাজের অভাবনীয় মান আগামীদিনেও প্রশ্নবিদ্ধ।
এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে বকশীগঞ্জ এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী শামসুল হক সাংবাদিকদের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “ঠিকাদারকে বারবার নির্দেশ দেওয়ার পরও আমাদের কথার উপর কাজ চলছে না। আপনারা সাংবাদিকরা কেন কাজ বন্ধ করে দেন না? লেখালেখি করে বা ফেসবুকে ছবি তুলে কিংবা নিউজ করে আমাদের কি লাভ? সরাসরি কাজ বন্ধ করুন।”
এলজিইডি সূত্রানুসারে, উপজেলায় সড়ক ও সেতু নির্মাণের তদারকির দায়িত্বে উপজেলা প্রকৌশলী, কয়েকজন উপসহকারী প্রকৌশলী ও অফিস সহায়ক স্টাফ রয়েছেন। কিন্তু ঠিকাদাররা তাঁদের অনুমোদন অগ্রাহ্য করায় প্রকল্পের নির্ধারিত মান নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় জনগণের প্রশ্ন হলো, যদি এলজিইডি কর্তৃপক্ষের আদেশ অনুসরণ করে কাজ বন্ধ না হয়, তাহলে জনগণের এই তদারকি দায়িত্ব কেন নিতে হবে? জনগণের ট্যাক্সের অর্থে বেতন গ্রহণের পরও যদি কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হন, তাহলে তাঁদের পদে থাকার কোন অর্থ থাকে?
এ পরিস্থিতিতে স্থানীয় সচেতন মহল আহ্বান জানিয়েছে যে, অবিলম্বে প্রকল্পগুলোর কাজ পরিদর্শন করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হোক এবং দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।