
যশোরের মনিরামপুর উপজেলার ইত্যা গ্রামে বিএনপি ও যুবদল নেতার বাড়িতে দুর্বৃত্তদের দ্বারা রেখে যাওয়া একটি চিরকুট, কাফনের কাপড়ের টুকরা, দা এবং গোলাপ জলসহ দাফনের যাবতীয় জিনিসপত্র স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। চিরকুটে লেখা রয়েছে, ‘তোরা চাচা ভাইপো এলাকায় যা শুরু করেছিস, তোদের সময় শেষ’।
বৃহস্পতিবার, ৫ জুন, ভোর রাতে কে বা কারা এই সব জিনিসপত্র রেখে যায়। পরে ভুক্তভোগীরা এই ঘটনায় দুপুরে মনিরামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ভুক্তভোগীদের মধ্যে রয়েছেন কাশিননগর ইউনিয়নের ইত্যা গ্রামের ১ নাম্বার ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শাহজান সরদার এবং তার ভাইপো যুবদলের সদস্য আবু তাহের।
স্থানীয় পুলিশ ও ভুক্তভোগীরা জানান, বিএনপি নেতা শাহজাহান সরদার ও যুবদল নেতা আবু তাহের পাশাপাশি দুটি বাড়িতে বসবাস করেন। বুধবার রাতে তারা স্বাভাবিকভাবে ঘুমাতে যান। ভোরে শাহজাহান মসজিদে নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় উঠানের সামনে একটি সাদা প্যাকেট ঝুলতে দেখেন। কৌতূহলবশত প্যাকেটটি নামিয়ে খুললে এর ভেতরে দুই টুকরা কাফনের কাপড়, দা, গোলাপ জল, আতর, আগরবাতি, সুরমাসহ দাফনের যাবতীয় জিনিসপত্র পাওয়া যায়। চিরকুটে লেখা ছিল, ‘তোরা চাচা ভাইপো এলাকায় যা শুরু করেছিস, তোদের সময় শেষ’। এই ঘটনার পর থেকে ভুক্তভোগীরা আতঙ্কে রয়েছেন।
বিএনপি নেতা শাহজান সরদার বলেন, ‘ভোরে প্যাকেটে কাপড়ের টুকরা, দা, চিরকুট দেখে আতঙ্কে আছি। বাড়ির লোকজন কান্নাকাটি করছে। এলাকায় খবর ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন পাড়া থেকে লোকজন আমাদের বাড়িতে আসছে। বিষয়টি স্থানীয় বিএনপি নেতা ও থানাতে অভিযোগ করেছি। ধারণা করছি, ২০২১ সালে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগের নেতাকর্মীরা আমার বাড়িতে হামলা করেছিল। হত্যা করতে ব্যর্থ হওয়াতে এখন তারা নতুন করে পরিকল্পনা করছে। রাজনীতিক আধিপত্য বিস্তার করছে এই হুমকি দিয়েছে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা।’
কাশিমনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের আমলেও শাহজাহানের বাড়িতে হামলা হয়েছিল। নেতৃত্ব দিয়েছিল স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এখন তারা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে ত্রাস সৃষ্টি ও হুমকি দিতে এই কাজ ঘটিয়েছে।’
মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবলুর রহমান খান জানান, ‘ভুক্তভোগী বিএনপি নেতা থানাতে একটি অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ অনুসন্ধান শুরু করেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।