প্রচ্ছদ কৃষিবার্তা বন্যা-জলোচ্ছ্বাসেও টিকবে নতুন ধান ব্রি-১০৯

বন্যা-জলোচ্ছ্বাসেও টিকবে নতুন ধান ব্রি-১০৯

দ্বারা নিজস্ব প্রতিনিধি
০ কমেন্ট 2 মিনিট পড়ুন
বন্যা-জলোচ্ছ্বাসেও টিকবে নতুন ধান ব্রি-১০৯

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট দক্ষিণাঞ্চলের কৃষকদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলেছে। তারা উদ্ভাবন করেছে ব্রি-১০৯ নামক একটি নতুন জাতের ধান, যা উপকূলীয় জায়গায় জোয়ারের পানির মধ্যে ২১ দিন অবস্থান করলেও ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। এই উদ্ভাবনের ফলে দক্ষিণাঞ্চলের কৃষকদের দীর্ঘ সময়ের হতাশা দূর হতে পারে এবং এটি উচ্চ ফলনের সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে।

ব্রি-১০৯ জাতের ধানের মাঠপর্যায়ে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলক চাষ সম্পন্ন হয়েছে। গবেষকগণ নিশ্চিত করেছেন যে, এই জাতের ধান ১৩০ থেকে ১৮০ সেন্টিমিটার লম্বা হয় এবং ফসল পরিপক্ব হওয়ার পর ১৪৫ থেকে ১৪৭ দিনের মধ্যে কাটা করা সম্ভব। হেক্টর প্রতি ধানের সম্ভাব্য ফলন প্রায় সাড়ে ৬ মেট্রিক টন হতে পারে। এটি কৃষকদের জন্য উল্লেখযোগ্য এক সম্ভাবনা তৈরি করেছে। বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলে প্রতি বছর বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, উচ্চ জোয়ার এবং নিচু জমিতে দীর্ঘ সময় পানি জমে থাকার কারণে প্রচুর ধানের চারা নষ্ট হয়ে যায়। এর ফলে আমন চাষিরা মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হন এবং অনেক সময় তারা তাদের মূলধনও ফিরে পেরে না।

এই সমস্যা মোকাবেলার জন্য বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রায় দুই দশকের গবেষণা শেষে নতুন জাত ব্রি-১০৯ উদ্ভাবন করে। মাঠপর্যায়ের পরীক্ষামূলক চাষ সফল হয়েছে এবং এর প্রথম বছরে এই জাত স্থানীয় জাতের তুলনায় দ্বিগুণ ফলন দিয়েছে।

স্থানীয় কৃষকরা জানিয়েছেন, ব্রি-১০৯ ধানের একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এটি উপকূলের জলমগ্ন পরিবেশ সহনশীল। ২১ দিন পানি থাকতে থাকলেও চারা মারা যায় না। তারা আশা প্রকাশ করছেন যে, এই ধানের মাধ্যমে আমনের মৌসুমে প্রচুর ক্ষতি কমে যাবে।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট বরিশাল শাখার বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা রেজোয়ান বিন হাফিজ বলেন, ‘ব্রি-১০৯ জাতের ধান মূলত উপকূলীয় এলাকার জন্য উপযুক্ত। এটি বন্যা এবং জলোচ্ছ্বাসের আক্রমণে টিকে থাকে এবং ১৪৫ থেকে ১৪৭ দিনের মধ্যে কাটা সম্ভব।’

সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. হাসিনা খাতুন জানান, ‘এই প্রথমবারের মতো মাঠপর্যায়ে পরীক্ষামূলক চাষে স্থানীয় জাতের তুলনায় দ্বিগুণ ফলন দেখা গেছে। এটি উপকূলীয় কৃষকদের জন্য এক নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে।’

বিজ্ঞানী ড. আশিক ইকবাল বলেন, ‘২০০২ সালে আমাদের গবেষণা শুরু হয় এবং দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টার ফলে আজকের সফলতা এসেছে। এটি দক্ষিণাঞ্চলের কৃষকদের জন্য এক অভূতপূর্ব সুযোগ হয়ে উঠতে পারে।

You may also like

মতামত দিন

ঠিকানা

marbanglasongbad logo

আমার বাংলা সংবাদ মিডিয়া এন্ড কমিউনিকেশন পক্ষে প্রকাশক কর্তৃক প্রকাশিত।

প্রকাশক ও সম্পাদক : হাসান মাহমুদ,
বিভাগীয় প্রধান ( অনলাইন): সাইফ উদ্দিন

জনপ্রিয় সংবাদ

নিউজলেটার

সর্বশেষ সংবাদ সবার আগে পেতে নিউজলেটার সাবস্ক্রাইব করুন।

Are you sure want to unlock this post?
Unlock left : 0
Are you sure want to cancel subscription?
-
00:00
00:00
Update Required Flash plugin
-
00:00
00:00