
আগামী সোমবারের মধ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে পারে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি ইস্যুতে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ ও হামাসের মধ্যে কার্যকর আলোচনা চলছে। সম্ভাবনা আছে- শিগগিরই ঐক্যমতে পৌঁছাতে পারে উভয়পক্ষ। বাইডেন এমন এক সময়ে এই মন্তব্য করলেন, যখন মাত্র কয়েক দিন পরেই মিশিগান রাজ্যে প্রাইমারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই রাজ্যে ফিলিস্তিনপন্থী ভোটাররা বাইডেনের ইসরায়েলপন্থী অবস্থানকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। এই ইস্যুতে এরই মধ্যে কয়েক দফায় বৈঠক করেছে মিসর, কাতার, ইসরাইল, যুক্তরাষ্ট্র এবং হামাসের প্রতিনিধিরা। শনিবার প্যারিসে, রোববার দোহায় বৈঠকের পর এবার কথা রয়েছে কায়রোতে আলোচনায় বসার। এর আগে, শনিবার তেল আবিবে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকারের পদত্যাগ দাবি করে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে ইসরায়েলের জনগণ। হামাসের সঙ্গে চুক্তি এবং জিম্মি ফেরত আনার বিষয়ে নেতানিয়াহুর ব্যর্থতার জন্যই এ বিক্ষোভের সূচনা হয়। এ সময় বিক্ষোভকারীরা নতুন করে নির্বাচনের আহ্বানও জানান। এখান থেকেই যুদ্ধবিরতির বিষয়টি উঠে আসে।তবে যুদ্ধবিরতির আলোচনার মধ্যেও গাজায় অব্যাহত রয়েছে ইসরাইলি আগ্রাসন। সোমবারও রাফায় ভয়াবহ তাণ্ডব চালায় ইসরাইলি সেনারা।চলমান যুদ্ধে হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রথম যুদ্ধবিরতিটি ছিল গত নভেম্বরের ২৫ তারিখ থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। সে সময় নিজেদের কব্জায় থাকা ২ শতাধিক জিম্মির মধ্যে অর্ধেক জিম্মিকে ছেড়ে দিয়েছিল হামাস, বিনিময়ে ইসরায়েলের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি দেড় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছিল ইসরায়েলও। এদিকে, গেল বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এতে ইসরাইলের ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ হামলার প্রতিবাদে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় সেদিন থেকে হামলা চালাচ্ছে ইসরাইলি সেনারা। প্রায় পাঁচমাস ধরে চলা এ হামলায় এখন পর্যন্ত ২৯ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আর আহত হয়েছেন প্রায় ৭০ হাজার।