প্রচ্ছদ রাজনীতি গুলশান ও ধানমন্ডিতে হয় পরিকল্পনা, বাংলাদেশি পুলিশের নজর এড়াতে কলকাতাকে বেছে নেয় খুনিরা

গুলশান ও ধানমন্ডিতে হয় পরিকল্পনা, বাংলাদেশি পুলিশের নজর এড়াতে কলকাতাকে বেছে নেয় খুনিরা

দ্বারা নিজস্ব প্রতিনিধি
০ কমেন্ট 1 মিনিট পড়ুন
গুলশান ও ধানমন্ডিতে হয় পরিকল্পনা, বাংলাদেশি পুলিশের নজর এড়াতে কলকাতাকে বেছে নেয় খুনিরা

ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, দীর্ঘদিনের পরিকল্পনার মাধ্যমে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীমকে হত্যা করা হয়েছে। খুনিরা অনেক দিন ধরে এই হত্যাকাণ্ডের সুযোগ খুঁজছিলেন।

গুলশান ও ধানমন্ডিতে হয় পরিকল্পনা, বাংলাদেশি পুলিশের নজর এড়াতে কলকাতাকে বেছে নেয় খুনিরা
গুলশান ও ধানমন্ডিতে হয় পরিকল্পনা, বাংলাদেশি পুলিশের নজর এড়াতে কলকাতাকে বেছে নেয় খুনিরা 10

আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে বাংলাদেশে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গোয়েন্দা কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ এসব তথ্য জানান।মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ঢাকার গুলশান ও ধানমন্ডির দুটি বাসায় এক-দুই মাস ধরে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীমকে হত্যার পরিকল্পনা হয়। ঢাকায় ধরা পড়ার সম্ভাবনা থাকায় হত্যার স্থান হিসেবে বেছে নেওয়া হয় কলকাতাকে।

গুলশান ও ধানমন্ডিতে হয় পরিকল্পনা, বাংলাদেশি পুলিশের নজর এড়াতে কলকাতাকে বেছে নেয় খুনিরা
গুলশান ও ধানমন্ডিতে হয় পরিকল্পনা, বাংলাদেশি পুলিশের নজর এড়াতে কলকাতাকে বেছে নেয় খুনিরা 11

এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীমকে কৌশলে কলকাতায় নেওয়া হয়। খুনের পর হত্যাকারীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে। কী কারণে হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে সেটি বের করা হবে। তবে এখন মূল কাজ হলো, হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের বের করা। এ জন্য কলকাতা পুলিশ ও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ একসঙ্গে কাজ করছে।

মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ‘আনোয়ারুলকে হত্যার পর লাশটি গুম করতে শরীর টুকরা টুকরা করে হাড্ডি ও মাংস আলাদা করা হয়। এরপর কেউ যাতে সন্দেহ করতে না পারে, এ জন্য হলুদ মিশিয়ে ব্যাগে ভরে ওই বাসা থেকে বের করা হয়েছে। কিন্তু কোথায় মরদেহের খণ্ডিত অংশ ফেলা হয়েছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।’ আনোয়ারুল আজীমের পুরো লাশ না পাওয়া গেলেও খণ্ডিত মরদেহ পাওয়া যাবে মনে করেন গোয়েন্দা কর্মকর্তা।

গুলশান ও ধানমন্ডিতে হয় পরিকল্পনা, বাংলাদেশি পুলিশের নজর এড়াতে কলকাতাকে বেছে নেয় খুনিরা
গুলশান ও ধানমন্ডিতে হয় পরিকল্পনা, বাংলাদেশি পুলিশের নজর এড়াতে কলকাতাকে বেছে নেয় খুনিরা 12

এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে গ্রেপ্তার আমানুল্লাহর প্রকৃত নাম শিমুল ভুঁইয়া বলে জানান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি আরও বলেন, নতুন পাসপোর্ট করে তিনি এই নাম ধারণ করেছেন। তিনি চরমপন্থী দলের নেতা ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে অনেকগুলো হত্যা ও অস্ত্র মামলা আছে।

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ জানান, এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে ভারতের পুলিশের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। তাঁদের একটি দল বাংলাদেশে আসছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অনুমতি দিলে হয়তো বাংলাদেশ পুলিশের একটি দলও সেখানে যাবে।

You may also like

মতামত দিন

ঠিকানা

marbanglasongbad logo

আমার বাংলা সংবাদ মিডিয়া এন্ড কমিউনিকেশন পক্ষে প্রকাশক কর্তৃক প্রকাশিত।

প্রকাশক ও সম্পাদক : হাসান মাহমুদ,
বিভাগীয় প্রধান ( অনলাইন): সাইফ উদ্দিন

জনপ্রিয় সংবাদ

নিউজলেটার

সর্বশেষ সংবাদ সবার আগে পেতে নিউজলেটার সাবস্ক্রাইব করুন।

Are you sure want to unlock this post?
Unlock left : 0
Are you sure want to cancel subscription?
-
00:00
00:00
Update Required Flash plugin
-
00:00
00:00