
সবশেষ ফিফার র্যাঙ্কিং অনুযায়ী ৬৭তম অবস্থানে রয়েছে ইরাক। অথচ এই দলটিই হারিয়ে দিলো ৪৭ ধাপ এগিয়ে থাকা জাপানকে। তাতে যেন ফুটবল বিশ্ব এক বড় অঘটনের সাক্ষী হলো। এতে করে ৪২ বছরের অপেক্ষার অবসান হলো ইরাকের। আর দলটির পক্ষে ঐতিহাসিক এই ঘটনার মহানায়ক বনে গেলেন ফরোয়ার্ড আয়মান হোসেন ।এশিয়ান কাপ ফুটবলের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে মাঠে নামে ইরাক ও জাপান। ম্যাচটিতে ২-১ গোলে ঐতিহাসিক জয় পায় ইরাক। দলটির হয়ে জোড়া গোল করেন আয়মান হোসেন। আর জাপানের হয়ে একটি গোল পরিশোধ করেন ওয়াতারু ইন্ডো। এই জয়ে ইরাক নকআউট পর্বে জায়গা করে নিয়েছে। গ্রুপ ‘ডি’তে দুই ম্যাচ শেষে সবগুলো জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ইরাক উঠে এসেছে শীর্ষে। আর ১ হারের কারণে ২ ম্যাচ থেকে ৩ পয়েন্ট নিয়ে জাপান রয়েছে দুইয়ে। এ দিন কাতারের অ্যাডুকেশন সিটি স্টেডিয়াম যেন ইরাকি দর্শকদের উল্লাসে ভেসে গেছে। বিশেষ করে খেলা শুরুর প্রথম ৫ মিনিটে যখন জাপান গোল হজম করে বসে তখন ইরাকি সমর্থকদের চিৎকারে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে গোটা স্টেডিয়াম। শুরুতেই ইরাককে এগিয়ে নেন আয়মান। হেডে বল জালে জড়িয়ে দেন এই ফরোয়ার্ড। বিরতির আগে দলের ও নিজের দ্বিতীয় গোল করেন তিনি। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে আহমেদ আল হাজাজির অ্যাসিস্টে এবারও হেডে বল জালে জড়ান আয়মান। বিরতির পর বেশ কয়েকটি আক্রমণ করলেও গোলের দেখা পাচ্ছিল না জাপান। অবশেষে ম্যাচের ৯৩ মিনিটে একটি গোল শোধ দিতে পারে তারা। খুব কাছ থেকে লক্ষ্যভেদ করেছেন এন্ডো।শেষ মুহূর্তে একটি গোল শোধ করলেও ব্লু সামুরাইরদের হারতে হয়েছে ২-১ ব্যবধানে।