
দেশে শনাক্ত হওয়া করোনার সাব-ভ্যারিয়েন্ট ‘জেএন.ওয়ান’ দ্রুত ছড়ায় বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। মঙ্গলবার সকালে করোনা ভাইরাসের সবশেষ জেনোম সিকোয়েন্সিং গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করে বিএসএমএমইউ। গবেষণার প্রধান পৃষ্ঠপোষক অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ জানান, করোনার নতুন উপধরন জেএন-ওয়ান বাংলাদেশে শনাক্ত হয়েছে। দুই ডোজ ভ্যাকসিন নেয়ার পরও যে কেউ এটিতে আক্রান্ত হতে পারেন। বিএসএমএমইউ উপাচার্য জানান,বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বছরের শুরুতে নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট‘জেএন.ওয়ান’ এর কথা জানায়। জানুয়ারি মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত কোভিড আক্রান্ত ৪৮ রোগীর স্যাম্পল নিয়ে জিনোম সিকোয়েন্সিং করে বিএসএমএমইউ। গবেষণায় তিন জন রোগীর দেহে নতুন এই সাব-ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়। উপাচার্য আরও জানান, আক্রান্তদের একজন এসেছে দেশের বাইরে থেকে। জ্বর, সর্দি, গলাব্যথা, মাথাব্যথা ও হালকা কাশি এই ভ্যারিয়েন্টের লক্ষণ। মৃদু উপসর্গ হলেও সংক্রমণের মাত্রা বেশি হওয়ায় জ্বর, ঠান্ডা হলেই করোনা টেস্ট করানোর অনুরোধ করেন তিনি। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রত্যেক করোনা ভাইরাসের ধরনই বিপদজনক এবং তা মারাত্মক অসুস্থতা এমনকি মৃত্যুর কারণও হতে পারে। পাশাপাশি ভাইরাসের নিয়মিত মিউটেশন প্রচলিত স্বাস্থ্য বাবস্থাকে ঝুঁকিপূর্ণ করতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্যেগে সরকার ইতোমধ্যে আড়াই কোটি ডোজ টিকা সংগ্রহ নিশ্চিত হয়েছে। ২০২৪ ও ২০২৫ সালে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে চতুর্থ ডোজ হিসেবে এসব টিকা দেয়া হবে। তাই করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে ও টিকা গ্রহণ করতে হবে।