আগামী ১৫থেকে ১৭ মার্চ অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে নিবন্ধন করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ সংস্থা এ তথ্য জানায়।প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমানে রাশিয়ায় পুতিনের তেমন শক্ত কোনো বিরোধী না থাকায় এই নির্বাচনে তিনিই জয়ী হবেন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। রাশিয়ার নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, পুতিনকে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। তিনি ছাড়াও ডানপন্থি নেতা ফায়ারব্র্যান্ড ও পুতিনের অনুগত হিসেবে পরিচিত লিওনিড স্লুটস্কিকে প্রার্থী হিসেবে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে।মোট চারবার প্রেসিডেন্ট হয়েছেন ৭১ বছর বয়সী পুতিন। এর আগেও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সংক্ষিপ্ত সময় দায়িত্ব পালন করেছিলেন। উল্লেখ্য, ২০২০ সালে বিতর্কিত সাংবিধানিক সংস্কারের পর, পুতিনের সামনে এখন অন্তত ২০৩৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার সুযোগ রয়েছে।১৯৯৯ সাল থেকে রাশিয়ার ক্ষমতায় আছেন ৭১ বছর বয়সী পুতিন। জোসেফ স্ট্যালিনের পর যে কোনো শাসকের চেয়ে দীর্ঘদিন তিনি প্রেসিডেন্ট পদে আছেন। এরপরও তিনি মনে করছেন, রাশিয়ার এই বিপদের দিনে তারই ক্ষমতায় থাকা প্রয়োজন।বেশ আগে থেকেই কূটনীতিক, গোয়েন্দা ও অন্যান্য কর্মকর্তা বলে আসছেন, পুতিন আজীবন রাশিয়ার ক্ষমতায় থাকবেন। তাকে নির্বাচনের মাঠে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারবে এমন কোনো হেভিওয়েট প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। ৮০ শতাংশ মানুষই তার পক্ষে। রাষ্ট্র কাঠামো ও গণমাধ্যম তার হাতে আছে। এ ছাড়া তার অব্যাহত শাসন নিয়ে মূলধারার জনসাধারণের মাঝে কোনো বিরোধিতা নেই।তবে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে কিছুটা বিপাকে আছেন পুতিন। এই যুদ্ধ নিয়ে ১৯৬২ সালের কিউবা ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের পর পশ্চিমাদের সঙ্গে সবচেয়ে বড় সংঘাতে জড়িয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রাশিয়ার অর্থনীতিকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করে চলেছে পশ্চিমারা। যদিও পশ্চিম থেকে মুখ ফিরিয়ে এশিয়া ও আফ্রিকায় মনোনিবেশ করে এই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন ক্রেমলিনপ্রধান। মোট চারবার প্রেসিডেন্ট হয়েছেন ৭১ বছর বয়সী পুতিন। এর আগেও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সংক্ষিপ্ত সময় দায়িত্ব পালন করেছিলেন। উল্লেখ্য, ২০২০ সালে বিতর্কিত সাংবিধানিক সংস্কারের পর, পুতিনের সামনে এখন অন্তত ২০৩৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার সুযোগ রয়েছে।