
রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার কাটাসুর এলাকায় কামাল আহমেদ (৪০) নামে আওয়ামী লীগের সাবেক এক নেতাকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
সোমবার (২৯ জুলাই) রাত ৯টার দিকে মোহাম্মদপুর কাটাসুর দুই নম্বর গলির মাথায় এ ঘটনা ঘটে।
কামাল আহমেদ ৩৩নং ওয়ার্ডের সাবেক ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। সবশেষ তিনি একই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবাধিকার সম্পাদক ছিলেন।
স্থানীয় লোকজন বলেন, রাতে ৯টার দিকে কাটাসুর দুই নম্বর গলির মাথায় সড়কের পাশে বসে মোবাইলে লুডু খেলছিলেন কামাল। হঠাৎ বেশ কয়েকজন তরুণ ধারালো অস্ত্র নিয়ে সেখানে আসে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই অতর্কিত এই হামলায় কামাল আহমেদকে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে দুর্বৃত্তরা। হামলাকারীরা পরে পালিয়ে যায়। তবে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। পরে পথচারী ও স্থানীয় ব্যক্তিরা তাকে উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা।
তিনি আরও বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত তাদের ধরতে ইতোমধ্যে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে তদন্তে বিস্তারিত জানা যাবে। আশা করছি দ্রুতই হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।’
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সকালে মোহাম্মদপুর জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মো. রওশানুল হক সৈকত আওয়ামী লীগ নেতাকে হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, কারা, কী কারণে তাকে হত্যা করেছে, তা জানার জন্য তদন্ত চলছে। ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের ধরতে পুলিশ ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে।
কামালের বিবাহিত জীবনে স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। গত এক মাস আগে তার স্ত্রীর ছেলে সন্তান হয়েছে।

এই মুহূর্তে কামালের মরদেহ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে রাখা হয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে তার মরদেহ পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে মর্গ সূত্র।
মোহাম্মদপুর থানার ওসি মাহফুজুল হক ভুঁইয়া বলেন, এ ঘটনা পর খবর পেয়ে আমরা কামাল আহমেদের মরদেহ উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠিয়েছি। এই ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তে আমরা কাজ করছি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো অভিযোগ করা হয়নি।