
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের কোয়ালিফায়ার-১ এ রংপুর রাইডার্সকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে উঠল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। আগে ব্যাট করতে নেমে জিমি নিশামের ঝড়ো ৯৭ রানের ইনিংসের ওপর ভর করে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে রংপুর। জবাবে লক্ষ্য তাড়ায় অধিনায়ক লিটন কুমার দাস ও তাওহিদ হৃদয়ের জোড়া ফিফটিতে ৯ বল বাকি থাকতেই জয় তুলে নেয় কুমিল্লা। আর এই জয়ে এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো বিপিএলের ফাইনালে উঠলো দলটি। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের অধিনায়ক লিটন কুমার দাস। টসে হেরে ব্যাটিং এ নেমে দলীয় ২৭ রানে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে রংপুর রাইডার্স। তবে এরপর অবশ্য ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পায় রংপুর; জিমি নিশাম শুরু থেকেই ছিলেন আগ্রাসী মেজাজে। শেষ পর্যন্ত তার ৪৯ বলে ৮ চার ও ৭ ছক্কায় অপরাজিত ৯৭ রানের ইনিংসে ১৮৫ রানের লড়াকু পুজি পায় রংপুর। জবাবে ১৮৬ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই হোঁচট খায় কুমিল্লা। ফজলহক ফারুকির বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে শুন্য রানে সাজঘরে ফেরেন নারিন। তবে নারিনের ধাক্কা কুমিল্লার ওপর বোঝা হতে দেননি লিটন-হৃদয়।উল্টো আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে রংপুরকে চাপে ফেলে দেন তারা।এই দু’জনের ব্যাটে পাওয়ার প্লে’তে ৬১ রান তুলে কুমিল্লা। রংপুরের বোলারদের বেধড়ক পিটিয়ে ৩১ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন হৃদয়। এই জুটিতে ম্যাচের ১১তম ওভারে দলীয় রান ১০০ পূরণ করে কুমিল্লা। খানিক পর ৩৮ বলে লিটনও পৌঁছে যান হাফ সেঞ্চুরিতে। তবে ১৫তম ওভারে আবু হায়দার রনির বলে সাকিব আল হাসানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ৪৩ বলে ৬৪ রানের ইনিংস খেলে সাজ ঘরে ফেরেন হৃদয়। এরপর ৩ বলে ১০ রান করে চার্লস দ্রুত ফিরে গেলেও মঈন আলীকে নিয়ে দলকে জয়ের পথেই নিতে থাকেন লিটন। কিন্তু শেষের দিকে শেখ মাহেদির শিকার হয়ে ৫৭ বলে ৮৩ রান করে ফেরেন লিটন। তবে এরপর মঈন আলী ও আন্দ্রে রাসেল মিলে হেসে-খেলে কুমিল্লার জয় নিশ্চিত করেন।