
জামালপুর জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মো. আনিসুজ্জামান গামার অফিস কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। বুধবার (২৫ জুন) সকাল ১০ টায় জেলা আইনজীবী সমিতি ও আইনজীবী ফোরামের নেতারা আনিসুজ্জামান গামার অফিস কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেন। এ সময় অফিসে থাকা আইনজীবীর সহকারীদের বের করে দেয়া হয়। পরে জেলা আইনজীবী সমিতির সামনে তার অপসারণের দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন আইনজীবীরা। বক্তারা বলেন, ‘দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ, দুর্নীতি, অযোগ্যতাসহ নানা অভিযোগে অভিযুক্ত জামালপুর জেলা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট মো. আনিসুজ্জামান গামাকে বারবার পদত্যাগ করার আহ্বান জানানো হয়। এরপরও তিনি পদত্যাগ না করায় তার অফিস কক্ষে তালা দেয়া হয়েছে। আগামীতে তিনি যদি পদত্যাগ না করেন তাহলে কঠোর আন্দোলনে যাব আমরা।’ জামালপুর জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম নবী বলেন, ‘আমরা পিপি আনিসুজ্জামানের অফিসে প্রতীকী তালা লাগিয়ে দিয়েছি। এর কারণ তিনি আইনজীবী ফোরামের বাইরে ব্যক্তিগত তদবিরে পিপি হয়ে আসেন। যেটা ঠিক না, সংগঠনের জন্য ক্ষতিকারক। সংগঠন যাকে সুপারিশ করবে তারই হওয়া উচিত। সেটা হয়নি, এটা ঠিক না।’ অপরদিকে, পিপি আনিসুজ্জামান গামা বলেন, ‘সকাল ১০ টার দিকে আমি কোর্টে আসার জন্য রেডি হচ্ছিলাম। এ সময় আমার সহকারী জানায় গোলাম নবীসহ মোবারকের নেতৃত্বে বহিরাগতরা চেম্বারে তালা লাগিয়েছে। আমি বিষয়টি জানতে চাইলাম বলল, আমাকে সরাবে। আমি পিপি হবার পরদিনই মানববন্ধন করেছে আমাকে মানে না। সরকার আমাকে নিয়োগ দিয়েছে, কী জন্য মানে না এটা তারা বলে নাই। এরপর থেকেই তারা প্রতি মাসে একবার করে মানববন্ধন করছে।’ তিনি আরও জানান, ‘তারা আমার চেম্বারে তালা মেরেছে কিছু নথি তছনছ করেছে। চলে যাবার সময় হুমকি দিয়েছে। আমি যদি তালা খুলে বসি তারা আমার ওপর শারীরিক নির্যাতনও করতে পারে। এটা আমার সহকারীরা বলেছে। আমি সরকারি নিয়োগপ্রাপ্ত। আমার কোনো দুর্নীতি নাই, অনিয়ম নাই। থাকলে সরকার দেখবে। কিন্তু গোলাম নবী পিপি হতে চেয়েছিল, মোবারক অতিরিক্ত পিপি হতে চেয়েছিল। পারে নাই, তারাই এ কাজগুলো করছে। ওরা ‘মব সৃষ্টিকারী’, ওরা এভাবে আদালতকে কুক্ষিগত করতে চায়।’ পিপি বলেন, ‘গোলাম নবী কোর্টে জামিন শুনানি করে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী একজন আসামি শফিকুল ইসলাম মাসুদকে জামিন করিয়েছেন। যার ভিডিও ভাইরাল, তার ভিডিও আছে, তাহলে তারা বিএনপি করে আওয়ামী লীগের জামিন চাচ্ছেন। আমি বাধা দিতে গেলেই আমাকে সরাতে হবে। কারণ আমার কাছে প্রমাণ আছে একাধিক বিএনপির আইনজীবী তারা ওকালতনামায় ফাইল করে নাশকতার মামলায় আওয়ামী লীগের জামিন করায়। আমার কাছে অডিওসহ প্রমাণ আছে। আমি সরকারের কাছে এসব আইনজীবীর বিরুদ্ধে বিচার প্রার্থনা করি।