
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) গত অক্টোবরে চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে কোচের পদ থেকে অপসারণ করে। এই পদক্ষেপের পেছনে ছিল দায়িত্বে অবহেলা ও আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ। তবে, হাথুরুসিংহে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
হাথুরুসিংহের বরখাস্তের ঘটনা ঘটে বিসিবির সদ্য সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদের সময়ে। ফারুক সভাপতি পদে দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই হাথুরুকে অপসারণের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এই কারণে অনেকেই মনে করেন, হাথুরুর বরখাস্তের পেছনে ফারুকের একক ভূমিকা ছিল। বিষয়টি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে পাঠানো ৮ বিসিবি পরিচালকের অনাস্থা চিঠিতে উঠে এসেছে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ফারুক অন্যান্য পরিচালকদের মতামত না নিয়েই হাথুরুকে বরখাস্ত করেছেন, যা যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করার ইঙ্গিত দেয়।
এছাড়া, বিপিএলে ব্যর্থতার কারণে ক্রীড়া পরিষদ ফারুকের পরিচালক পদ বাতিল করে, ফলে তার বিসিবি সভাপতির পদও স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে যায়। তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন দেশের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান আমিনুল ইসলাম বুলবুল, যিনি গতকাল দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।
বাংলাদেশ ক্রিকেটের এই ঘটনাবলি সম্পর্কে অবগত হাথুরুসিংহে তার বরখাস্ত হওয়ার বিষয়টিকে অন্যায্য বলে দাবি করেছেন। তিনি উল্লেখ করেন, “বিসিবি সভাপতিকে অপসারণের পেছনের একটি কারণ নাকি যথাযথ প্রক্রিয়া না মেনে আমাকে কোচের পদ থেকে বরখাস্ত করার বিষয়টি। মাঠের ভেতরে এবং বাইরে স্বচ্ছতা, প্রক্রিয়া এবং সম্মান গুরুত্বপূর্ণ।”
এই মন্তব্যের মাধ্যমে হাথুরুসিংহে ক্রিকেট পরিচালনায় স্বচ্ছতা ও সম্মানের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন।