
জাকের আলী অনিকের দুর্দান্ত এক ইনিংসে জয়ের স্বপ্ন দেখছিলো বাংলাদেশ। খেলা শেষ হওয়ার তিন বল আগে ৩৪ বলে চারটি চার ও ছয়টি ছক্কায় ৬৮ রান করে জাকের বিদায় নিলে দলের স্বপ্নভঙ্গ হয়। শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে বাংলাদেশ হারে মাত্র ৩ রানে। শ্রীলঙ্কার দেওয়া ২০৭ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ২০৩ রানে থামে টাইগাররা। ইনিংসের শুরুতে সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের করা প্রথম ওভারেই শূন্য রানে ফিরে যান লিটন দাস।এরপর সৌম্য সরকার ও তাওহিদ হৃদয়ের দ্রুত বিদায়ে ৩০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। নবম ওভারে নাজমুল হোসেন শান্তকে ব্যক্তিগত ২০ রানে সাজ ঘরে ফেরান মাথিশা পাথিরানা। এরপর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৩১ বলে ৫৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে দলকে খাদের কিনার থেকে টেনে তুলেন। রিয়াদের বিদায়ের পর জাকের আলী ক্রিজে তাণ্ডব চালাতে থাকেন। কিন্তু তাতে শেষ রক্ষা হয়নি লাল- সুবজ দলের। ম্যাচের শেষ বলে জয়ের জন্য ৫ রান প্রয়োজন হলে মাত্র ১ রান নিতে সমর্থ্য হন স্ট্রাইকে থাকা তাসকিন। ফলে নির্ধারিত ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ২০৩ রান তুলতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। লঙ্কানদের হয়ে ম্যাথুস, বিনুরা ও শানাকা ২টি করে উইকেট লাভ করেন। এর আগে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। আভিস্কা ফার্নান্দোকে প্যাভিলিয়নে ফেরান শরিফুল ইসলাম। এরপর পঞ্চম ওভারে কামিন্দু মেন্ডিসকে সাজ ঘরে ফেরান তাসকিন আহমেদ। ৩৭ রানে দুই উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে লঙ্কানরা। তবে ৩য় উইকেটে কুশল মেন্ডিস এবং সাদিরা সামাবিক্রমার ৯৬ রানের জুটিতে বিপর্যয় সামাল দেয় শ্রীলঙ্কা। দলীয় ১৩৩ রানের মাথায় ৫৯ রান করা কুশল মেন্ডিসকে ফেরান রিশাদ হোসেন। শেষ পর্যন্ত সাদিরা সামারাবিক্রমা ৪৮ বলে অপরাজিত ৬১ ও চারিথ আসালাঙ্কার ২১ বলে ছয়টি ছক্কায় ৪৪ রানের ঝড়ো ইনিংসে ২০৬ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা।বাংলাদেশের হয়ে শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ ও রিশাদ হোসাইন একটি করে উইকেট লাভ করেন। ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন চারিথ আসালাঙ্কা।