
রাস্তার পাশে কৃষি জমির বিস্তীর্ণ মাঠে সাঁটানো বড় বড় সাইনবোর্ড। সবজি ও ফসল আবাদের এসব জমি বেশিরভাগই ভাড়া নিয়ে সাইনবোর্ড বসিয়েছেন মুক্তধারা সিটি হাউজিং। দেখে মনে হবে সাইনবোর্ড টাঙানো সব জমিই মুক্ত ধারার। কিন্তু সবই প্রতারণায় ঠাসা। এইভাবেই ঠকাচ্ছেন গ্রাহকদের। আবার কিছু কৃষকের জমি জোর করেও কিনে নেয় প্রতারক কোম্পানীটি।
কৃষকদের জমিতে ভাড়ায় সাইনবোর্ড টাঙিয়ে জালিয়াতি করে আসছে কেরানীগঞ্জের আটিবাজারের কলাতিয়া রোডে গড়ে ওঠা এই মুক্তধারা সিটি হাউজিং কোম্পানী। অনুমোদন ছাড়া রাজউক প্লট বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা দিলেও বছরের পর বছর ধরে কোনো তোয়াক্কা করছে না কোম্পানীটি। আবাসন ব্যবসার কোনো অনুমোদন ছাড়াই দেদারসে তারা প্লট বিক্রি করছে তারা।
ভয়াবহ প্রতারণায় এ যেন রূপকথার গল্পকেও হার মানাবে এই আবাসন প্রকল্পটি। এই কোম্পানিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ জমি না কিনে জমির মালিকের কাছ থেকে সম্মতি নিয়ে সাইনবোর্ড টানায়। তারপর প্লট বানিয়ে ওই মালিকের মাধ্যমে রেজিস্ট্রি করে দেয়। সরকারি আইনে যা পুরোপুরি অবৈধ।
একই সঙ্গে স্থানীয় নেতাদের হাত করে দেদারছে চলছে ফসলি জমি ভরাট।
এদিকে অনুমোদন না থাকায় মুক্তধারা সিটিকে প্লট বিক্রি বন্ধে চিঠি দিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। কিন্তু সেই নীতির তোয়াক্কা না করেই এ হাউজিংয়ের চলছে অবৈধভাবে প্লট বিক্রি।
শুধু তাই নয়, আবাসন কোম্পানীর যে কয়টি লাইসেন্স প্রয়োজন তার কোনটাই নেই মুক্তধারা আবাসন কোম্পানীটির।
সরকারি আইনে যেখানে অনুমোদন ছাড়া প্লট ক্রয় বিক্রয় করা যাবে না। সেখানে এই হাউজিং কোম্পানী কিভাবে চালাচ্ছে এমন ভয়াবহ প্রতারণা-এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান বলেন, ছোট প্রজেক্ট আমাদের। তাই অন্য কোনো অনুমোদনের প্রয়োজন ম্যাটার করে না।
এদিকে সম্প্রতি অনুমোদনহীন আবাসন কোম্পানীগুলোর থেকে প্লট না কেনারও সতর্ক করে রাজউক।