ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ‘ম্যানচেস্টার ডার্বি’তে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ৩-১ গোলে হারালো ম্যানচেস্টার সিটি। ম্যাচের শুরুতেই মার্কাস রাশফোর্ডের গোলে এগিয়ে যায় রেড ডেভিলরা। একের এক আক্রমণের পশরা সাজিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে দারুণ সব গোলে ডার্বি জয়ের উল্লাসে মাতে পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা। নিজেদের ঘরের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে এদিন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে আতিথ্য জানায় ম্যানচেস্টার সিটি। ম্যাচের ৮ম মিনিটে দারুণ এক প্রতি-আক্রমণে অসাধারণ এক গোলে সিটিকে স্তব্ধ করে দেন রাশফোর্ড। তবে পিছিয়ে পরার পর মরিয়া হয়ে ওঠে সিটিজেনরা। ম্যাচের ১৪তম মিনিটে দারুণ এক সুযোগ পেয়েও শেষ বাধা ভাঙতে পারেননি ফোডেন। ডি-বক্সে অরক্ষিত এই মিডফিল্ডারের শট পা দিয়ে ঠেকিয়ে দেন ইউনাইটেড গোলরক্ষক আন্দ্রে ওনানা। এর চার মিনিট পর ফোডেনের আরেকটি প্রচেষ্টাও রুখে দেন তিনি। গোলের জন্য মরিয়া সিটির টানা আক্রমণের সামনে প্রথমার্ধে বেশ দৃঢ়তায় সামলে রাখে ইউনাইটেডের রক্ষণভাগ। ম্যাচের ৩৩ মিনিটে রদ্রির শটও ফিরিয়ে দেন ইউনাইটেড গোলরক্ষক ওনানা।এরপর ম্যাচের ৪৫তম মিনিটে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন আর্লিং হাল্যান্ড। ফলে ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যায় স্বাগতিকরা।বিরতির পরও একই ধারায় চলতে থাকে লড়াই। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর অবশেষে ৫৬তম মিনিটে সমতায় ফেরে সিটি। রদ্রির পাস ধরে কিছুটা আড়াআড়ি গিয়ে দূরপাল্লার জোরাল শটে ঠিকানা খুঁজে নেন ফোডেন। প্রথমার্ধে ৭৪ শতাংশ বলের দখল রাখার পরও গোল করতে ব্যর্থ সিটি ম্যাচের ৮০ মিনিটে দ্বিতীয় গোলটি পেয়ে যায়।এই গোলটাও বক্সের বাইরে থেকে করেন ফোডেন। এরপর যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে তৃতীয় গোলটি করে সিটির জয় নিশ্চিত করে দেন হাল্যান্ড। এদিকে, ২৭ ম্যাচে ১৯ জয় ও ৫ ড্রয়ে সিটির পয়েন্ট ৬২। ১ পয়েন্ট বেশি নিয়ে শীর্ষে লিভারপুল। এক ম্যাচ কম খেলে ৫৮ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আর্সেনাল। আর ২৭ ম্যাচে ৫৫ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে অ্যাস্টন ভিলা। অন্যদিকে, এবারের লিগে ১১তম হারের দেখা পাওয়া ইউনাইটেড ১১ ম্যাচ হাতে রেখে শীর্ষ চারের চেয়ে ১১ পয়েন্টে পিছিয়ে পড়লো। ২৭ ম্যাচে ৪৪ পয়েন্ট নিয়ে দলটির অবস্থান ষষ্ঠ।