
যশোরের চামড়া ব্যবসায়ীরা বর্তমানে এক কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন। দীর্ঘদিন ধরে তাদের বকেয়া টাকা আদায় হয়নি, যা ব্যবসার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। পাশাপাশি, লবণের দাম এবং শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধির কারণে চামড়া ব্যবসা নিয়ে তাদের উদ্বেগ বেড়ে গেছে। ব্যবসায়ীদের মতে, এই সমস্যাগুলো কাটিয়ে উঠতে তাদের প্রয়োজন ঋণ সুবিধা।
যশোরের রাজারহাট দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম চামড়ার হাট হিসেবে পরিচিত। এখানে খুলনা বিভাগের ১০ জেলার ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, রাজশাহী, পাবনা, ঈশ্বরদী এবং নাটোরের বড় ব্যবসায়ীরা চামড়া বেচা-কেনা করেন। তবে, ট্যানারি মালিক এবং মহাজনদের কাছে বকেয়া আদায় না হওয়ার পাশাপাশি লবণের মূল্য বৃদ্ধির কারণে ব্যবসায়ীরা হতাশ।
ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন, যদি তারা বকেয়া টাকা পেতে পারেন এবং ঋণ সুবিধা পান, তাহলে তারা এই সমস্যাগুলো মোকাবেলা করতে সক্ষম হবেন। একইসঙ্গে, ইউরোপের বাজারে প্রবেশের জন্য সরকারি উদ্যোগ নেয়ারও দাবি জানিয়েছেন তারা।
জেলা প্রশাসন চামড়ার বাজারে স্থিতিশীলতা ফেরাতে এবং পাচার রোধে সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম জানিয়েছেন, “আমাদের এই অঞ্চল থেকে কোনো চামড়া পাচার হবে না। চামড়া নিয়ে যেন কোনো নৈরাজ্য না হয়, চামড়া যেন পচে না যায়, শৃঙ্খলার সঙ্গে যাতে বেচাকেনা হয় সে ব্যাপারে আমাদের সর্বোচ্চ সতর্কতা আছে।”
চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির তথ্য অনুযায়ী, এই হাটটিকে ঘিরে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ব্যবসায়ী ব্যবসা পরিচালনা করেন। ঈদ পরবর্তী সময়ে এখানে প্রায় শত কোটি টাকার চামড়া হাতবদল হয়।