মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে হামলা-পাল্টা হামলায় বিরাজ করছে উত্তপ্ত পরিস্থিতি। গেলো ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই নতুন নতুন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ছে উত্তেজনা। পশ্চিমা দেশগুলোর হস্তক্ষেপ যা বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েকগুণ। সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্য ইস্যুতে রাশিয়ার আহ্বানে নিউইয়র্কের জাতিসংঘের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক।ওই বৈঠকে রাশিয়া ও চীনের তোপের মুখে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র। মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেছে তারা। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা ছাড়াই নিজেদের স্বার্থে অঞ্চলটিকে অস্থিতিশীল করে তোলার অভিযোগ এনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি তীব্র নিন্দা জানানো হয়।ইরাক ও সিরিয়ায় মার্কিন অভিযান আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে দাবি করে ইরান। তবে, যুক্তরাষ্ট্রের ভাষ্য- আত্মরক্ষায় ইরাক ও সিরিয়ায় হামলা চালাতে বাধ্য হয়েছে ওয়াশিংটন।এদিকে, প্রথমে হুতি বিদ্রোহীদের দমনে ইয়েমেনের ভূখণ্ডে যৌথ হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। এরপর ইরাক ও সিরিয়ায় শুরু হয় যুক্তরাষ্ট্রের অভিযান। এতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে হুতি, হিজবুল্লাহসহ প্রতিরোধ বাহিনীগুলো। এর কড়া জবাব দেয়ার- পাল্টা হুঁশিয়ারি তাদের। এমন পরিস্থিতিতে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়েছে পুরো মধ্যপ্রাচ্যে। যার জন্য পুরোপুরিভাবে যুক্তরাষ্ট্রকেই দায়ী করেছে রাশিয়া ও চীন। কড়া ভাষায় নিন্দা জানিয়েছে তারা । এদিকে, এমন পরিস্থিতিতে সব পক্ষকে শান্ত হয়ে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল রোজমেরি ডিকারলো বলেন, চলমান এই সংঘাতে চরম মূল্য দিতে হচ্ছে নিরস্ত্র নিরীহ মানুষদের। ব্যাপক অর্থনৈতিক ক্ষতিতে পড়তে হচ্ছে অঞ্চলগুলোকে। তাই, সবপক্ষকে শান্ত হয়ে পরিস্থিতি পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানানো হচ্ছে। এছাড়া, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রকেই সংযত হতে হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।